কুমিল্লায় সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে দাউদকান্দি কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে

এস,কে তালুকদার, দাউদকান্দি (কুমিল্লা)
কুমিল্লা জেলার সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে দাউদকান্দি কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে
আজ সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল আটটা ত্রিশ মিনিটে দাউদকান্দি উপজেলা মডেল মসজিদের খতিব মতিউর রহমান সিদ্দিকী এই ঈদের জামাতের ইমামতি করেন।
দাউদকান্দি মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ জুনায়েত চৌধুরীর সভাপতিত্বে
দাউদকান্দি পৌর বিএনপির অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক সওগাত চৌধুরী (পিটার) ও দাউদকান্দি জামায়াতের রোকন শুক্কুর আলীর যৌথ সঞ্চালনায়
নামাজ পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. খন্দকার মারুফ হোসেন, দাউদকান্দি উপজেলা জামায়াতের আমীর মু. মনিরুজ্জামান বাহলুল, দাউদকান্দি জামায়াতের পৌর আমীর কাশেম আলী প্রধানীয়া, দাউদকান্দি উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এম এ লতিফ ভূঁইয়া। পৌর বিএনপির সভাপতি নূর মোহাম্মদ সেলিম, সদস্য সচিব কাউসার আলম সরকার , উপজেলা বিএনপির সাবেক বিএনপির সভাপতি একেএম শামসুল হক,কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি ভিপি শাহাবুদ্দিন ভূঁইয়া।
আলোচনায় ড. মারুফ হোসেন বলেন, আমার বাবা বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন এই ঈদগাহ তৈরি করেছেন কিন্তু আমরা গত ১৭ বছর যাবত এই ঈদগাহে নামাজ পড়তে পারি নাই, মহান আল্লাহ তায়ালা উসিলায় ৫ আগস্ট ছাত্র জনতা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার হাসিনার পতনের পর এই প্রথম নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে একসাথে ঈদের নামাজ পড়ার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন সেই জন্য শুকরিয়া আদায় করছি আলহামদুলিল্লাহ। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও আমরা সবাই একসাথে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আরও বড় পরিসরে ঈদের নামাজ আদায় করবো।
মনিরুজ্জামান বাহলুল বলেন, “ঈদের আনন্দ শুধু নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সমাজের সব মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়াই আমাদের দায়িত্ব। আসুন, আমরা দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভালোবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও দৃঢ় করি।
সকাল সাড়ে সাতটার মধ্যে মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়, ঈদের জামাত ঈদগাহ পেরিয়ে মাদ্রাসার মাঠ ও ছাদ পরিপূর্ণ হয়ে শেষ পর্যন্ত ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে গিয়ে গড়ায়।
বিশ্লেষকরা বলছেন আজকের ঈদের জামাত কুমিল্লা জেলার সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছে।
আজকের ঈদের জামাতে নারী পুরুষ মিলে প্রায় দশ, বার হাজার মুসল্লী অংশগ্রহণ করেছেন। রাজনৈতিক সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে এই ঈদগাহ একটি ইতিহাস সৃষ্টি করবে।