শিরোনাম:

ইঞ্জি. থোয়াই চিং মং শাকের উদ্বেগ

ঐকমত্য কমিশনের সাথে ইউপিডিএফ’র বৈঠক

ঐকমত্য কমিশনের সাথে ইউপিডিএফ’র বৈঠক

পার্বত্য চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এ অঞ্চলের সংকট শুধুমাত্র আঞ্চলিক নয়, বরং এটি দেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। এই বাস্তবতা উপলব্ধি করে, জাতীয় ঐক্য এবং সম্মিলিত উদ্যোগ ছাড়া এই সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।

আজ এক বিবৃতিতে অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনীতিবিদ ইঞ্জি. থোয়াই চিং মং শাক সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “১৯৭১ সাল থেকে আজ ২০২৫ সাল পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামবাসী প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি। ভারতের দখলবাদী নীতির ছায়ায় একটি গোষ্ঠী বরাবরই বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করে এসেছে।”

তিনি বলেন, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর প্রত্যক্ষ মদদে পরিচালিত সংগঠনসমূহ আজো ‘স্বায়ত্তশাসন’-এর নামে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। এই স্বায়ত্তশাসনের দাবির পেছনে দীর্ঘমেয়াদি উদ্দেশ্য হচ্ছে তথাকথিত ‘জুম্মল্যান্ড’ নামে একটি পৃথক রাষ্ট্র গঠন।

ইঞ্জি. শাক আরও বলেন, “আজও পাহাড়ে ৫-৬টি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন অস্ত্র নিয়ে খুন, চাঁদাবাজি, অপহরণ চালিয়ে যাচ্ছে। জেএসএস, ইউপিডিএফ, কেএনএফসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠন পাহাড়ে চাঁদার টাকায় রাজত্ব কায়েম করেছে।”

তাঁর অভিযোগ, সরকারের ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ একটি অনিবন্ধিত, অবৈধ ও সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফ-এর সঙ্গে বৈঠকে বসছে, যা সরাসরি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে পরিণত হয়েছে।

তিনি প্রশ্ন রাখেন, “যে সংগঠনের হাতে সেনাবাহিনীর সদস্যদের রক্ত, যারা সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে, তাদের সঙ্গে কীভাবে একটি সরকারি কমিশন বৈঠক করে? এটি কি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পরোক্ষ স্বীকৃতি নয়?”
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, একই সময়ে সন্তু লারমা ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রটোকল নিয়ে সে দেশে অবস্থান করছেন, যা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তার রাজনৈতিক স্বীকৃতি প্রাপ্তির ইঙ্গিত বহন করে।

দাবিসমূহ:
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইঞ্জি. শাক নিম্নোক্ত দাবি ও আহ্বান জানান:
১। ১৫ মে ইউপিডিএফ-এর সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
২। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে ড. ইফতেখারসহ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সহযোগীদের অপসারণ করতে হবে।
৩। ইউপিডিএফ, জেএসএস, কেএনএফ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
৪। সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।
৫। রাষ্ট্রদ্রোহী সন্তু লারমার প্রটোকলপ্রাপ্ত অবস্থান বাতিল করে তার ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
“স্বায়ত্তশাসনের নামে অন্যকোনো রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন বাংলার মাটিতে কখনো বাস্তবায়ন হবে না। পার্বত্য চট্টগ্রাম চিরকালই বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে, থাকবে।”

রাজশাহীতে ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

ঐকমত্য কমিশনের সাথে ইউপিডিএফ’র বৈঠক

মো: গোলাম কিবরিয়া
রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি

ছিনতাইকারী জীবনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ।
রাজশাহী নগরীতে ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মামলায় অভিযুক্ত মো. জীবন ইসলামকে (৩৪) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৫। বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নগরীর চন্দ্রিমা থানার ললিতাহার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

র‌্যাব জানায়, জীবন ইসলাম নগরীর খিরশিন টিকর (বাগানপাড়া) এলাকার মো. দিরাজ আলীর ছেলে।

শুক্রবার (২৩ মে) সকালে র‌্যাব-৫ এর পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, র‌্যাবের রাজশাহী সদর কোম্পানির একটি অপারেশন দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত এবং চাঁদাবাজি চক্রের মূল হোতা জীবনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর তাকে নগরীর শাহমখদুম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

পুলিশ জানায়, রাজশাহী শহরের শাহমখদুম থানার সিটিহাট এলাকায় এক পুলিশ সদস্য ও তাঁর পরিবারের ওপর সংঘবদ্ধ হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার সময় গাড়িতে থাকা একজন কিশোরীকে শ্লীলতাহানি এবং তাদের কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমা মোস্তারিন জানান, ১৩ মে মতিহার থানার এক পুলিশ সদস্য তাঁর মামা, ভাগনে ও মামাতো বোনকে নিয়ে প্রাইভেট কারে যাচ্ছিলেন। সিটিহাট এলাকায় পৌঁছালে জীবন নামে একজনের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক গাড়িটি সিগন্যাল দিয়ে থামায়। গাড়িতে কিশোরী দেখে তাঁরা হেনস্তার চেষ্টা করে এবং পরিচয় জানার পর আরও আগ্রাসী আচরণ করে।

ওসি আরও জানান, হামলাকারীরা গাড়িতে থাকা মেয়েটিকে শ্লীলতাহানি করে, একটি মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয় এবং ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। শেষ পর্যন্ত মানিব্যাগে থাকা দুই হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় শাহমখদুম থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মামলার ভিত্তিতে পুলিশ সজীব নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। রিমান্ডে নেওয়া সজীব জিজ্ঞাসাবাদে জীবন ও রাকিব নামে আরও দুইজনের নাম প্রকাশ করে। র‍্যাব অভিযান চালিয়ে জীবনকে গ্রেপ্তার করে এবং আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ওসি মাসুমা মোস্তারিন জানান, এই চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক চাঁদাবাজি, ছিনতাই ও মারামারির মামলা রয়েছে। পলাতক রাকিবকে ধরতে অভিযান চলছে।

বিএমডিএ চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামানের মৃত্যু

ঐকমত্য কমিশনের সাথে ইউপিডিএফ’র বৈঠক

মোঃ সুজন আহাম্মেদ রাজশাহী প্রতিনিধি

২৩শে মে ২০২৫ইং শুক্রবার।
রাজশাহী: বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)-এর চেয়ারম্যান ড. এম আসাদুজ্জামান ইন্তেকাল করেছেন। আজ শুক্রবার (২৩ মে) সকাল সাড়ে ৭টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

ড. আসাদুজ্জামান রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌর এলাকার কেল্লা বারইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি বিএনপির প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ছোট ভাই।

মত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তার দুই সন্তানই আমেরিকায় থাকেন। ছেলে জাতিসংঘের বড় পদে চাকরি করেন। সন্তানেরা দেশে ফেরার পর দাফনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

এর আগে গত ১ অক্টোবর রাজশাহী বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক নির্বাহী পরিচালক ড. এম আসাদুজ্জামানকে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়।

১৯৯২ সালে বিএমডিএ প্রতিষ্ঠায় ড. আসাদুজ্জামানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তিনি সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক পদে দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায়।

জানা গেছে, ড. এম আসাদুজ্জামান তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন একজন সেচ প্রকৌশলী হিসেবে এবং শেষ করেছিলেন একজন সামাজিক প্রকৌশলী হিসেবে। তিনি ২০০৭ সালে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) নির্বাহী পরিচালকের পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। আসাদুজ্জামান ১৯৭২ সালে সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনায় প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও আইনে স্নাতক (এলএলবি) এবং কৃষি বিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে অলাভজনক ব্যবস্থাপনার জন্য কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্বাহী শিক্ষা কোর্সে অংশগ্রহণ করেন। ড. জামান বিশ্বব্যাংক, সিআইডিএ, ডিএফআইডি এবং এডিবির সাথে পরামর্শমূলক কাজে নিযুক্ত ছিলেন।

তিনি পঞ্চাশটিরও বেশি প্রযুক্তিগত গবেষণাপত্র এবং বই প্রকাশ করেছেন, যার বেশিরভাগই ভূগর্ভস্থ জল, কূপ, সেচ ব্যবস্থাপনা এবং খরচ পুনরুদ্ধারের উপর।

১৯৯২ সালে বিএমডিএ প্রতিষ্ঠায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং পরবর্তীতে সংস্থার নির্বাহী পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। গত বছর তিনি বিএমডিএর চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।

তার মৃত্যুতে রাজশাহীসহ বরেন্দ্র অঞ্চলের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে এক শূন্যতা সৃষ্টি হলো। বিএমডিএর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় জনগণ তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন।

সাব-ইন্সপেক্টর মনিরুজ্জামান এক নির্ভীক ও মানবিক পুলিশ কর্মকর্তা

ঐকমত্য কমিশনের সাথে ইউপিডিএফ’র বৈঠক

মোঃ মিঠু মিয়া গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি

গাইবান্ধা সদর থানায় কর্মরত নিষ্ঠাবান, সৎ,অত্যান্ত চৌকস, ডায়নামিক, স্মার্ট সিনিয়র সাব-ইন্সপেক্টর / মো: মনিরুজ্জামান, গত ০৭/০৬/২৪ ইং তারিখ যোগদান করে বেস কয়েকটি ক্লুলেস মাডার ডিটেক্ট ও আসামীদের

গ্রেফতার সহ এলাকায় মাদক উদ্ধার অভিজান, সাইবার অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওয়াতায় এনেছেন। গত ১৭/০৫/২৫ তারিখ পুলিশ হেডকোয়ার্টারে এক আদেশ এই ডায়নামিক অফিসার কে রাজশাহী রেঞ্জ

এর উদ্দেশ্যে ছাড়পত্র প্রদান করা হয়েছে। এতে সাধারণ জনগণ, সুশীল সমাজ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ তার এই পোস্টিং এর জন্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

এলাকার সাধারণ জনগণ, সুশীল সমাজ ও জন প্রতিনিধিগণ স্মার্ট সিনিয়র সাব-ইন্সপেক্টর / মো: মনিরুজ্জামান এর পোস্টিং এ এলাকায় আইন শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে মর্মে আশঙ্কা করছেন।

×